সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা প্রায়ই ধর্ষণের ঘটনার নানা পরিসংখ্যান দিয়ে থাকে। তবে এই পরিসংখ্যানই চূড়ান্ত নয়। এর বাইরে বহু ঘটনা নজরে আসে না। ফলে আড়ালের ঘটনাগুলো আড়ালেই থেকে যায়। ধর্ষিতা এবং প্রতিপক্ষের সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক অবস্থানের
দেখা গেছে, গণমাধ্যম সরব হলেই কেবল ঘটনাগুলো সামনে আসছে। তবে যতটুকু গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় সে চিত্রও ভয়াবহ। গত সাড়ে ৫ বছরে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সারাদেশে ধর্ষণের যে চিত্র তুলে ধরেছে তা রীতিমতো চমকে ওঠার মতো।
তাদের দেয়া পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত সাড়ে ৫ বছরে দেশে ৫ হাজার ২৪৮টি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (বিএমবিএস) বলছে, গত ৬ মাসে ১৪১ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৪ জনকে আর গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৩ নারী।
শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে শুধুমাত্র শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৯৪টি। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৬ জন শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৮ শিশুকে আর ৩ জন শিশু ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে আরো ২৮ শিশু।(জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকা) তবে এই পরিসংখ্যান যত ভয়াবহ-ই হোক এটি বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনার খণ্ডিত চিত্র মাত্র।
যা হোক ধর্ষণের কারণ হিসেবে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই দায়ি করে নারীর পোশাককে। বাংলাদেশে ধর্মান্ধতা এতটাই প্রকট যে ধর্ষণ আসলে কী সেটা না জেনেই মানুষ শুধুমাত্র ইসলাম কর্তৃক দেয়া পর্দার নির্দেশ অমান্য করার দায়ে ধর্ষণের দোষ চাপায় সেই ধর্ষিতা অসহায় নারীর উপরই। কিন্তু আমার জ্ঞান ও বিবেক বরাবরই বলে ধর্ষণের জন্য মানসিকতা দায়ি , পোশাক নয়। তনু, পাঁচ বছরের শিশু কন্যা, সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধ, ১ বছর ১০ মাস বয়সী শিশু কন্যা এদের ধর্ষণের কারন কখনোই পোশাক হতে পারে নাহৃ।
মনে রাখবেন, আপনি আপনার নোংরা মানসিকতার পরিবর্তন না ঘটাতে পারলে সমগ্র নারী জাতিকে বস্তাবন্দি করলেও ধর্ষণ বন্ধ হবে না।