এ কে এম আব্দুল্লাহ্, নেত্রকোনা: অবশেষে নাগরিকদের জনদুর্ভোগ লাঘবে নেত্রকোনা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের পালপাড়া থেকে গাড়া পর্যন্ত মাটি কেটে রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
নেত্রকোনা সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা সরকার শাহীন জানান, নেত্রকোনা পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পালপাড়া এলাকাটি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের অন্তভূক্ত হলেও প্রয়োজনীয় রাস্তাঘাট, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ড্রেন ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায়, এলাকাবাসী সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ জানান, নির্বাচন এলেই মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীরা আমাদের নানাবিধ সমস্যা ও দুর্ভোগ দুর্দশার কথা শুনে এ সকল সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে যান। নির্বাচিত হবার পর তারা তাদের প্রতিশ্রুতির কথা ভূলে যান। ফলে এলাকার সাধারণ জনগণ সারা বছরই ক্ষেতের আইল আর ভেঙ্গে যাওয়া মাটির রাস্তা পেরিয়ে বর্ষা কালে কাঁদা পানি মাড়িয়ে নিজ নিজ কর্মস্থল ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় গর্ভবতী মহিলা ও অসুস্থ রোগীদেরকে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ গাড়া থেকে পালপাড়া এলাকায় একটি স্থায়ী রাস্তা নির্মানের জোর দাবী জানিয়ে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হাতিম সওদাগর জানান, বর্ষার সময় একজন লোক মারা যাওয়ায় কোমর পানি মাড়িয়ে লাশ কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জনগনের দাবীর প্রেক্ষিতে অবশেষে পালপাড়া এলাকাবাসীর জনদূর্ভোগ লাঘবে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এডভোকেট বিদ্যুৎ পাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোকাম্মেল হক ও সদর থানা যুবলীগ নেতা সরকার শাহীনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নেত্রকোনা-২(সদর-বারহাট্টা) আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু’র থোক বরাদ্দ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এডভোকেট বিদ্যুৎ পাল জানান, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে যে ধারা সূচনা করেছেন, তারই ধারাবাহিকতা রক্ষায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের একজন নেতা হিসেবে পালপাড়া এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় এমপি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় স্থানীয় এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি, পৌর কর্তৃপক্ষ সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ এ অঞ্চলের জনগনের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দুর্দশা লাঘবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।